যখন সময় থমকে দাঁড়ায়

যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
ওরা কাজ করে

Sunday, February 24, 2008

“মনুসংহিতা” (বা বলা যায় ব্রাহ্মণ্য ধর্মে ?) তে নারীর স্থান

আমি “মনুসংহিতা” এখন পড়ছি । পড়া শেষ হয়নি , তাই এই লেখা পরে আরও বড়ো হতে থাকবে । আমার নিজের মত দিচ্ছি না , শুধু শ্লোকগুলির বাংলা অর্থ হুবহু তুলে দিচ্ছি । বিচার নিজেরাই করুন । অনেক পরস্পরবিরোধী মত দেখতে পাচ্ছি কিন্তু সম্পূর্ণ পড়া শেষ হলে আমার নিজের মত লিখব , তার আগে নয় ।

* নারীদের স্বভাবই হল পুরুষদের দুষিত করা । অতএব পন্ডিতগণ স্ত্রীলোক সম্বন্ধে অনবহিত হন না । (দ্বিতীয় অধ্যায়, ২১৩)
* সংসারে কাম ও ক্রোধের বশবর্তী বিদ্বান বা অবিদ্বান ব্যক্তিকে স্ত্রীলোক বিপথে নিতে পারে । (দ্বিতীয় অধ্যায়, ২১৪)
* মা , বোন বা মেয়ের সঙ্গে শূন্যগৃহাদিতে পুরুষ থাকবে না । শক্তিশালী ইন্দ্রিয়সমূহ বিদ্বান ব্যক্তিকেও বশীভূত করে । (দ্বিতীয় অধ্যায়, ২১৫)
* বহু কল্যাণকামী পিতা , ভ্রাতা , পতি , দেবর কর্তৃক কন্যা সম্মানীয়া ও ভূষণীয়া । (তৃতীয় অধ্যায়, ৫৫)
* যেখানে নারীগণ সম্মানিত হন , সেখানে দেবগণ প্রীত হন । যেখানে এঁরা সম্মানিত হন না , সেখানে সকল কর্ম নিষ্ফল হয় । (তৃতীয় অধ্যায়, ৫৬)
* জামিগণ (ভগিনী , পত্নী , কন্যা , ভ্রাতৃবধূ প্রভৃতি) যেখানে দুঃখ করেন , সেই বংশ শীঘ্র বিনষ্ট হয় । যেখানে এঁরা দুঃখ করেন না , সেই বংশ সর্বদা উন্নতিলাভ করে । (তৃতীয় অধ্যায়, ৫৭)
* জামিগণ অসম্মানিত হয়ে যে গৃহসমূহকে শাপ দেন , সেই গৃহসকল অভিচারহতের ন্যায় সব দিকে বিনষ্ট হয় । (তৃতীয় অধ্যায়, ৫৮)
* অতএব উন্নতিকামী ব্যক্তিগণ কর্তৃক এঁরা অলংকার , বস্ত্র ও ভোজ্য দ্বারা সর্বদা উৎসবাদিতে পূজনীয়া । (তৃতীয় অধ্যায়, ৫৯)
* যে কুলে স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে , স্ত্রী স্বামীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে , সেই কুলে সর্বদা নিশ্চয়ই কল্যাণ হয় । (তৃতীয় অধ্যায়, ৬০)
* স্ত্রীলোক দীপ্তিমতী হলে সেই সমগ্র কুল কান্তিমান হয় । তিনি দীপ্তিমতী না হলে সবই দীপ্তিহীন হয় । (তৃতীয় অধ্যায়, ৬২)
* নিজের ভৃত্যবর্গ (নিজের) ছায়া , কন্যা পরম কৃপাপাত্র । সুতরাং , এদের দ্বারা তিরস্কৃত হয়েও অসন্তপ্তচিত্তে সর্বদা সহ্য করবে । (চতুর্থ অধ্যায়, ১৮৫)

চলবে .......

1 comment:

Anonymous said...

lekhata shesh karun wait kore thaklam.kaal nari dibas specially