যখন সময় থমকে দাঁড়ায়

যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
ওরা কাজ করে

Sunday, March 9, 2008

শেষ বেলায়

নাম যখন , কথা যখন , রূপ-রস-স্পর্শ-বর্ণ-গন্ধ যখন
সব পুরোনো হয় অনুভূতির আখ্যান
থাকে শুধু নিরুচ্চারিত হৃদয়ের বাণী
চিরকালের অমোঘ হাতছানি
ভালোবাসা

“নতজানু হয়ে ছিলাম তখনও...”

শাপভ্রষ্ট দেবতা বা সমাহিত তথাগত
দুই চোখের আগুন আর তৃতীয় নয়ন
সুন্দর পৃথিবীর মায়া
বিকেলের আলো কুড়িয়ে
চলে গেলে বহুদূরে

বাতাসের উড়ো হাতছানি
দোল দিয়ে যায় মনের কোণায়
কৃষ্ণচূড়ার মতো গহন রঙিন রঙ
কীভাবে এঁকে দিলে?

আমি স্তব্ধ বাকহারা ভিড়ের তালে
কে ও? ও কে?
পথহারা বালকের মতো অসহায় মন
ঘুরপথে ঠিকপথে হারানো সুরের স্মৃতি
বার বার ফিরে ফিরে আসে

যখন সময় দোতারার তানে
চিনতে পারিনি তার অসীম শূন্যতা
দিব্যি চলে গেল দিনের পর দিন
মেঠো মেঠো একা একা অন্ধকার

চোখ উঁচু করে আকাশ দেখি
আর ভয়ে কুঁকড়ে যাই , কোথায় আমি?
হাতে হাত ছুঁয়ে থাকে সমান্তরাল বিষণ্ণতা
লাল রঙ কেন এত একা?

তিরতির বয়ে চলা নিস্তরঙ্গ জীবনের ঝিলে
পড়ুক না , পড়ে যদি দাগকাটা চোখের জল
কী যেন হালকা গভীর আঁকিবুকি
মনের মধ্যে অসীম

দাগ পড়ে , পড়ে না , আজব সময়ের ঝুলিতে
গোপন জাদু বুঝি এক
অস্ফূট , নিরুচ্চার সে কথা
বুঝি পুরোনো এ ব্রহ্মান্ডের চেয়ে আরও

এই বেশ , ভালো তবে ,
হাত ছুঁয়ে দেখো না , হৃদয় ছুঁয়ে থাকো চিরকাল

Wednesday, March 5, 2008

আমার প্রতিবাদের ভাষা

নন্দীগ্রামে মৃতের সংখ্যা সরকার যা বলছে তার চেয়ে অনেক বেশি তা যে কোনো লোকই বুঝতে পারছে,কারণ আমরা জানি যে কোনো ঘটনার দায় কমাতে/এড়াতে সরকার ক্ষতিগুলোকে কম করেই দেখায়
১.যদি মেনে নিই যে বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল,তাহলে একজন পুলিশকেও এমনকি আহত হতে দেখা গেল না কেন?
২.মাওবাদী থাকার ঘটনা সত্যি হলে,"বহিরাগত"দের গ্রেপ্তার করা হল না কেন? মাওবাদীরা তাদের প্রিয় অস্ত্র মাইন ছেড়ে ঢিল ছুঁড়বে কেন?
৩. পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরর রাজনীতি সচেতনতা প্রবল, তাই নোটিশ “ছিঁড়ে ফেলা”র আদেশ দেওয়া আর নোটিশ প্রত্যাহার করা যে এক বিষয় নয়, তা বোঝার জন্য “বহিরাগতদের ক্রমাগত ভুল বোঝানো”র দরকার হয়না
৪.পুলিশ আক্রান্ত হলে মহিলাদের পিঠে গুলি লাগবে কেন? লাগার কথা সামনের দিকে
৫. যে জায়গার প্রায় সব লোকই পুরোনো বামপন্হী,তারা শুধু "গুজব" শুনে সরকারের বিরোধিতা করছেন,কীভাবে বিশ্বাস করব?
৬. যে সি.পি.এম সমর্থকরা ঘরছাড়া,তারা/তাদের পরিবারের পুরুষরা ধোওয়া তুলসি পাতা এবং নির্যাতিত, তা তো দুবেলা বাম নেতাদের মুখে শুনছিতা মেনে নিলে, যারা সি.পি.এম সমর্থক নন এবং ঘরছাড়া, তাদের জন্য প্রশাসনের মাথাব্যথা নেই কেন? তাদের বাঁচার অধিকার নেই?
৭. সরকারের দায়িত্ব নেই আহতদের দেখতে গিয়ে অন্তত দুটো আশ্বাসবাণী শোনানোর?
৮. কংগ্রেস, তৃণমূল ও বি.জে.পি.র মুখে বড়ো বড়ো কথা মানায়না, বরানগর কারা করেছিল? আর গুজরাট?

সাধারণ মানুষ ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না নেতাদের দ্বিচারীতার মুখোশগুলো তারাই টেনে টেনে খুলবে, যাদের “মাইনরিটি”, “বেকার”, “পিছিয়ে পড়া”, “নারী”, “দরিদ্র” বা “অশিক্ষিত” তকমা দিয়ে, মুখে সহানুভুতির বোল পেড়ে এতদিন নির্বাচন বৈতরিনী পার হয়েছিলেন আপনারা মানুষের জন্য ঠিক ততটুকুই করেন, যতটুকু আপনাদের গদি বাঁচাতে দরকার

আরো অনেকের মতো আমিও আশা করি একদিন “মরব দেখে বিশ্বজুড়ে যৌথ খামার”

কিছু ভাষাতাত্বিক তথ্য

চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের ফলে বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্যের মতো লক্ষণ দেখা গেছে । চৈতন্য প্রভাবিত নবদ্বীপ / নদীয়া ও গৌড়ভূমি হয়ত সেই যুগ থেকেই আদর্শ ভাষার কেন্দ্র হয়ে উঠতে শুরু করেছিল ।

সেই সময়ের পর থেকেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পরিধি বিস্তৃত হয়েছিল । যথার্থ dialectal রচনার শুরু সেই সময় থেকেই ।

সেই সময় উত্তর ও পূর্ববঙ্গীয় উপভাষায় সাহিত্য রচিত হল । ভাষাতাত্বিকের কাছে এই ঘটনার দাম অনেক ।

অনুবাদ সাহিত্যের প্রাধান্য দেখা যাওয়ায় অনেক সংস্কৃত শব্দ তৎসম শব্দ হিসাবেই বাংলা ভাষায় ঢোকে ।

আগ্রহপূর্ণ বিষয় হল যে মুসলমান আক্রমণের পরবর্তী যুগে অনেক আরবি / ফারসি শব্দ বাংলায় প্রবেশ করে, আবার সংস্কৃত ভাষার শব্দও নতুনভাবে বাংলায় আসছিল । তাই একটা সমান্তরাল স্রোত সৃষ্টি হয়েছিল । আবার ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি ভাষার প্রভাব ফারসিকে দূরে সরিয়ে দিল । কিন্তু সংস্কৃত ভাষার সরাসরি প্রভাব আধুনিক বাংলা অবধি ছিল ।

চৈতন্যপরবর্তীযুগের আর একটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলতেই হবে । সেটা হল বাংলাভাষায় ব্রজবুলি ভাষার প্রভাব । অনেকে ব্রজবুলিকে বাংলার উপভাষা বলেন, কিন্তু সেটা ঠিক নয় ।